পদ্মা সেতু নিয়ে টালবাহানা কম হল না ।
বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিল করলে স্বয়ং বিশ্বব্যাংককেই দুর্নীতিগ্রস্ত
প্রতিষ্ঠান বললেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী । সরকারের কোন কোন চাটুকার ঘোষণা দিলেন নিজেদের
অর্থেই নির্মাণ করবেন পদ্মা সেতু । কথাটার যৌক্তিকতা যাই হোক, কোন কিছু না ভেবেই
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের খোয়াব দেখতে শুরু করলো আমাদের সরকার ।
কিন্তু জনগণ এখন আর বোকা নয় । কারা দূর্নীতি করে এবং দূর্নীতিতে কারা সিদ্ধহস্ত
একথা বোঝার মতো সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশের জনগণের আছে । নিজের অপরাধের দায় অন্যের
উপর চাপানোর দিন শেষ ।
কিভাবে সেতুর জন্য অর্থ যোগার হবে তা নিয়ে শুরু
হয়েছে আরেক খেইল । দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধব গতি , লোডশেডিং ইত্যকার নানা বিষয় নিয়ে যখন
মানুষের অবস্থা দুর্বিসহ, তখন পদ্মা সেতু যেন দেখা দিল আরেক আসমানী গজব হয়ে । দেশের
সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নেওয়া হবে পদ্মা সেতুর টাকা । এ নিয়ে বুদ্ধিদাতাদের যেন
বুদ্ধির অভাব নেই । কিভাবে জনগণের কাছ থেকে টাকা আদায় করা যায় তার নানা পদ্ধতি
যুক্তি সহকারে বুঝিয়ে দিচ্ছে সরকারকে । পাবলিক এতে মরুক কি বাঁচুক তা নিয়ে তাদের
অতো মাথাব্যাথা নেই । দেশের মানুষের এতে কতটুকু সমর্থন আছে তাও দেখার বিষয় নয় ।
দেশের উন্নয়ন অবশ্যই প্রয়োজন । কিন্তু তা হতে হবে
দেশের মানুষের ন্যুনতম চাহিদা মিটানোর পর । দেশের মানুষই যদি না বাঁচলো তাহলে
উন্নয়ন হবে কার জন্যে ?
ব্যাক্তি স্বার্থকে যারা জাতীয় স্বার্থের চেয়ে বড়
করে দেখে সরকারকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে । সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা
সকল দুর্নীতিবাজকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে । অন্যথায় সরকারের সকল
প্রচেষ্টা আর কালসাপকে বিশ্বাস করার মূর্খতা একই পরিণতি ডেকে আনবে ।